
সিটু-র অনুগামী অ্যাপ-ক্যাব চালকদের পরিষেবা বন্ধ করে মিছিল করার ফলে বৃহস্পতিবার দীর্ঘ সময় ধরে অ্যাপ-ক্যাব পরিষেবা ব্যাহত থাকল। অপর এক বাম সংগঠন এআইটিইউসি-র ক্যাবচালক সংগঠনও সিটু-র এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছিল । দুই সংগঠনের আহ্বানের জেরে যাত্রীদের অনেকেই ক্যাব ভাড়া করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন । বিভিন্ন ব্যস্ত এলাকাগুলিতে যাত্রীদের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুনতে হয়েছে। বাম চালক সংগঠনের তরফে জানান হয়েছে, ৩১ মার্চের পরে বাইক-ট্যাক্সির ক্ষেত্রে হলুদ নম্বর প্লেট বাধ্যতামূলক করতে চলেছে পরিবহণ দফতর। তাদের অভিযোগ, অল্প সংখ্যক বাইকচালকই হলুদ নম্বর প্লেট পেলেও বড় অংশের বাইকচালকই তা পাননি। বিশেষত ঋণদাতা সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে কেনা বাইকের নম্বর প্লেট বদলের ক্ষেত্রেই বেশি সমস্যা হচ্ছে।
বেসরকারি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি যাত্রী টানতে অত্যন্ত কম ভাড়ায় বুকিং নিচ্ছে বলেও সংগঠনের অভিযোগ। একাধিক সংস্থার মধ্যে এই প্রতিযোগিতা চলতে থাকায় চালকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং পরিষেবা দিতে ব্যাহত হচ্ছে বলেও তাঁদের দাবি। প্রতিযোগিতার কারণেই চালকেরা সরকারি অ্যাপ ‘যাত্রী সাথী’ থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যায় যাত্রী পাচ্ছেন না বলেও তারা অভিযোগ করে।
সমস্যা মেটাতে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির ন্যূনতম ভাড়া বেঁধে দিতে দাবি জানিয়েছে সিটু। শহরে সিএনজি পাম্প পর্যাপ্ত সংখ্যায় না থাকায় চালকদের জ্বালানি ভরতে গিয়েও নানা সমস্যা হচ্ছে। পেট্রলের তুলনায় সিএনজি ব্যবহার করলে সাশ্রয় হয়, অথচ চালকেরা অনেকেই সেই সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এ দিন পরিষেবা বন্ধ রাখার বিরোধিতা করলেও ক্যাবের কিলোমিটার-প্রতি ভাড়া বেঁধে দেওয়ার প্রশ্নে সরকারি হস্তক্ষেপ চেয়েছে ‘অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’ নামক শাসকদল ঘনিষ্ঠ সংগঠন ।