
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরপর দুই সফরে আসামে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হতে চলেছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ঘোষণা করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ এক পোস্টে জানিয়েছেন, “আসামের জনগণ ৮ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এবং ২৯ আগস্ট মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তাদের এই সফর আসামে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরসূচি
আগস্টের ২৯ তারিখে অমিত শাহ গুয়াহাটির খানাপাড়ায় আসাম পঞ্চায়েত সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সেখানে তিনি জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পঞ্চায়েত এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন ফৌজদারি বিচার আইন নিয়েও আলোচনা করবেন, যার লক্ষ্য হলো নারী, শিশু এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোকে আরও ভালো সুরক্ষা দেওয়া। বোড়ো সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তি স্থাপন ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য অমিত শাহের যে নিরন্তর প্রচেষ্টা, তা দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার পথ প্রশস্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরসূচি
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৮ সেপ্টেম্বর গোলাঘাট জেলার নুমালিগড়ে ৪,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভারতের প্রথম বাঁশ-ভিত্তিক জৈব-ইথানল শোধনাগারের উদ্বোধন করবেন। এই সবুজ শক্তি প্রকল্পটি আসামকে একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেন্দ্রে পরিণত করবে এবং এর ফলে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এই প্রকল্পটি বাঁশ চাষী ও বন সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
রাজ্য মন্ত্রিসভা সম্প্রতি পেট্রোকেমিক্যাল, বৈদ্যুতিক গাড়ি, সিমেন্ট, প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার এবং আতিথেয়তার মতো বিভিন্ন খাতে ৭,৭০০ কোটি টাকার শিল্প বিনিয়োগ অনুমোদন করেছে, যা ১৬,০০০-এরও বেশি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অসমের প্রচুর বাঁশ সম্পদ এই বাঁশের ইথানল প্ল্যান্টকে ভারতের সবুজ শিল্প বিপ্লবের পথিকৃৎ হিসেবে গড়ে তুলবে। এর ফলে দেশের ইথানল মিশ্রণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং গ্রামীণ ও উপজাতি অর্থনীতির উন্নতি সম্ভব হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রেও উন্নতির লক্ষ্যে মঙ্গলদৈ মেডিকেল কলেজ এবং প্রস্তাবিত কনকলতা বড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে, যা আসামকে একটি প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে।