
নাগাল্যান্ড সরকারের ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) ব্যবস্থার সাম্প্রতিক সংশোধন, যা ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ থেকে কার্যকর হতে চলেছে, কার্বি আংলং, ডিমা হাসাও, পশ্চিম কার্বি আংলং সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা ও দর্শকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। ২৭ মে, ২০২৫ তারিখের ডিমাপুরের ডেপুটি কমিশনারের এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষিত এই নতুন নিয়মাবলীতে ফি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং কঠোর ডকুমেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তা আরোপ করা হয়েছে, যা ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
নতুন নিয়মানুসারে, ৩০ দিনের পারমিটের জন্য দেশীয় পর্যটকদের এখন ২০০ টাকা এবং বিদেশী পর্যটকদের ৩০০ টাকা দিতে হবে, যা পূর্ববর্তী হারের তুলনায় অনেক বেশি। ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, কারণ তাদের জন্য বার্ষিক ফি এবং ৯০ দিনের পারমিটের জন্য বর্ধিত চার্জ ধার্য করা হয়েছে। কারিগরি কর্মী, পুরোহিত এবং শিক্ষকদের উপর ২ বা ৩ বছরের পারমিটের জন্য ১৫০০ টাকা চাপানো হয়েছে, এবং ব্যবসায়িক অংশীদারদের ৩ বছরের এককালীন পারমিটের জন্য ৫০০০ টাকা দিতে হবে, যা ৩০০০ টাকায় নবায়নযোগ্য। সমালোচকদের যুক্তি, এই উচ্চ ফি নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীগুলিকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করবে, যার ফলে তাদের জন্য নাগাল্যান্ডে কাজ করা বা ভ্রমণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
আধার কার্ড এবং প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেটের মতো বাধ্যতামূলক নথিপত্রও বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের অনেকের কাছে এই নথিপত্র না থাকায় তারা নাগাল্যান্ডে প্রবেশে সমস্যার সম্মুখীন হবেন। কিছু বিভাগের জন্য স্থানীয় জামিনদারের প্রয়োজনীয়তা এবং এর জন্য প্রতি বছর ৫০০ টাকা অতিরিক্ত ফি আরও অসুবিধা তৈরি করেছে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে অফ-লাইন আইএলপি সিস্টেম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জনমনে হতাশা বাড়িয়েছে, কারণ আবেদনকারীদের এখন একটি জটিল অনলাইন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও, ১ ডিসেম্বর, ১৯৬৩ সালের আগে ডিমাপুরে স্থায়ীভাবে বসবাসকারীদের জন্য ছাড়ের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তির অস্পষ্টতা বিভ্রান্তি এবং নির্বাচনী প্রয়োগের অভিযোগের জন্ম দিয়েছে।
আইন প্রয়োগের পদ্ধতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আইএলপি লঙ্ঘনের জন্য শুধুমাত্র ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা আরোপ করতে পারলেও, জরিমানার বিষয়ে স্পষ্টতার অভাব এবং তল্লাশির সময় পুলিশের অতিরিক্ত নজরদারির সম্ভাবনা অনাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আইএলপি চেকের সময় হয়রানির খবর ইতোমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, যা নাগাল্যান্ডের পর্যটন ও বাণিজ্য খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। জনসাধারণের মনোভাব অত্যন্ত নেতিবাচক, এবং অনেকেই সরকারকে এই পরিবর্তনগুলি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।