October 13, 2025
17

গুয়াহাটি, ১১ সেপ্টেম্বর: অসমে ক্রমবর্ধমান মানুষ-হাতি সংঘাত মোকাবিলায় গবেষণাভিত্তিক সংরক্ষণকে প্রধান কৌশল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন রাজ্যের শিক্ষা ও সমতল উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী রনোজ পেগু। মঙ্গলবার গুয়াহাটির NEDFi হাউসে অনুষ্ঠিত পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা ‘আরণ্যক’-এর ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, “মানুষের কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সংঘাত নিরসনে একটি শক্তিশালী এনজিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ‘আরণ্যক’-এর মতো গবেষণাভিত্তিক সংস্থা অসম সরকার ও জনগণের কাছে আশার প্রতীক।” তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, মানুষ-হাতি সংঘাত প্রশমনে এবং জলাভূমি ও তৃণভূমি সংরক্ষণের মাধ্যমে বন্যা ও ভাঙন নিয়ন্ত্রণে ‘আরণ্যক’-এর ভূমিকা আগামী দিনে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অসম দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. অরূপ কুমার মিশ্র, যিনি ‘আরণ্যক’-এর পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “ভালো হওয়া আর ভালো কাজ করা—এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। ‘আরণ্যক’ সত্যিই ভালো কাজ করছে।”

‘আরণ্যক’-এর সভাপতি রঞ্জন ভূঁইয়া সংস্থার ৩৫ বছরের যাত্রাপথ তুলে ধরেন এবং সাধারণ সম্পাদক ড. বিবাভ কুমার তালুকদার সংস্থার সাম্প্রতিক গবেষণা ও প্রকল্পগুলোর উপর একটি উপস্থাপনা দেন। এতে পিগমি হগ পুনরুদ্ধার, বন্যপ্রাণীর জেনেটিক গবেষণা, জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার, বন্য হাতির রেডিও কলারিং, এবং সরকারি ও স্থানীয় সংস্থার সঙ্গে সমন্বিত কাজের দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে বন বিভাগ, আধাসামরিক বাহিনী, পুলিশ, VDP, ছাত্র ও মহিলাদের সঙ্গে সংস্থার সহযোগিতার কথাও তুলে ধরা হয়, যা ‘আরণ্যক’-এর বহুমাত্রিক সংরক্ষণ প্রচেষ্টার অংশ।

এই সম্মেলন অসমে পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানুষ-হাতি সংঘাত নিরসনে গবেষণাভিত্তিক, সম্প্রদায়-ভিত্তিক এবং নীতিনির্ধারক সংস্থাগুলোর সমন্বিত ভূমিকার গুরুত্বকে নতুন করে তুলে ধরেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *