August 14, 2025
17

একটি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় দেখা গেছে, স্টকিং বা অনুসরণজনিত হয়রানির শিকার হওয়া মহিলাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যায়। হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ এবং ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলম্বিয়ার গবেষকরা ২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৬৬,০০০-এর বেশি মহিলার তথ্য বিশ্লেষণ করে এই উদ্বেগজনক ফলাফল প্রকাশ করেছেন।

গবেষণাটি Circulation, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, যেসব মহিলারা স্টকিংয়ের শিকার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগ বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা ৪১% বেশি। আর যারা আইনি সুরক্ষার জন্য restraining order (আদালতের নিষেধাজ্ঞা) নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০%।

গবেষকরা ব্যাখ্যা করেছেন, স্টকিং সরাসরি শারীরিক সহিংসতা না হলেও এটি দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপ স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা ব্যাহত করে, রক্তনালীর স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায় এবং শরীরে ক্ষতিকর জৈবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে—যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

হার্ভার্ডের গবেষক রেবেকা বি. লন বলেন, “স্টকিংকে অনেক সময় কম গুরুত্ব দেওয়া হয় কারণ এতে শারীরিক সংস্পর্শ থাকে না। কিন্তু এটি দীর্ঘস্থায়ী মানসিক ক্ষতি করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং মহিলাদের জন্য সহায়তা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।

এই গবেষণা স্বাস্থ্যসেবা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিয়েছে—শারীরিক নয় এমন সহিংসতাও নারীদের হৃদয়স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *