তিলোত্তমা মামলার ১৫ দিন পর। পুরো শহর বিচারের জন্য লড়াই করছে। প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন আমজনতা থেকে তারকারা। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক না থাকলেও একটাই মেসেজ। সবাই একই কথা বলছে। একদিন আগে সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং তার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন যে তিনি গান করতে পারেছে না। শহরের অনেক মানুষের একই অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে একই অবস্থা অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের। বারবার এই ঘটনার স্মৃতি তার চোখে ভেসে আসে। সে দুই চোখের পাতা এক করতে পারছে না। তিলোত্তমা ভেবেছিলেন বিয়ে করে সুখী সংসার করবেন। কিন্তু কে জানত এমনটা হবে। এমনটাই লিখেছেন নায়িকা।
শ্রুতি লিখেছেন, “যে মেয়েটির বিয়ে ছিল নভেম্বরে, তার মেকআপ আর্টিস্ট, মেহেন্দি আর্টিস্ট ঠিক করা হয়েছিল। তত্ত্বের জিনিস কেনা হয়েছিল। ফটোগ্রাফার ঠিক করা হয়েছিল, ভোজ বুক করা হয়েছিল। একমাত্র মেয়ে কীভাবে তার বাবা-মাকে ছেড়ে যাবে? হয়তো সে ভাবছিল। রোগী দেখার সময় হয়তো সে রাতে তার মাকে ঘুমোতে বলেছিল এবং ভেবেছিল বিয়ের পর সে এভাবে সব সামলাতে পারবে তো!
বেনারসি হয়ত কেনা হয়ে গেছে আর দিনরাত বরের মাথা খেত নাকে যেন সিঁদুর পরে নাহলে কিন্তু ছবিটা ভালো আসবে না। হয়তো হানিমুনের টিকিট কাটা ছিল। তাদের পছন্দের পাহাড়ে যাবে নাকি সাগর কিংবা জঙ্গলে ঘেরা পশুপাখি! পাগলিটা বুঝলো না এখানে দানব আছে, দানব! এখানে মানুষ মানুষকে ছিন্নভিন্ন করে তাদের স্বপ্ন গিলে ফেলে!! ঘুমাচ্ছো? আমি পারব না!” প্রায় সকলেরই একই অনুভূতি। বিচারের দাবিতে একের পর এক কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। এমনকি টলিউডের একগুচ্ছ ছবির মুক্তিও পিছিয়ে গেছে। প্রতিদিনই রাস্তায় মানুষের ভিড়। তিলোত্তমা কি বিচার পাবে? সময়ই বলে দেবে।