
দক্ষিণ টেক্সাসের উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে স্পেসএক্সের ‘স্টারশিপ’-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। উৎক্ষেপণের আট মিনিটের মধ্যেই তা ভেঙে পড়েছে। স্পেসএক্সের রকেটে বিপত্তি। মধ্য আকাশে ভেঙে পড়ল আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থার তৈরি ‘স্টারশিপ’। তার ধ্বংসাবশেষ ঝরে পড়েছে পৃথিবীর দিকে। তা থামাতে গিয়ে আমেরিকায় ব্যাহত হচ্ছে বিমান পরিষেবাও। দ্বিতীয় বার উৎক্ষেপণের পর ভেঙে পড়ল স্পেসএক্সের রকেট।
মাঝ আকাশেই বিস্ফোরণ হয় এবং রকেটের ধ্বংসাবশেষ গুলি আগুনের গোলার মত নীচের দিকে নামতে থাকে দ্রুত গতিতে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, আকাশ জুড়ে আগুনের গোলা ছড়িয়ে পড়েছে। সাথে রয়েছে কালো ধোঁয়া। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের হাইতির আকাশের সেই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে রয়টার্স। স্পেসএক্সের রকেট ভেঙে পড়ায় মেক্সিকো উপসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। পরীক্ষামূলক কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে যাচ্ছিল ‘স্টারশিপ’। স্পেসএক্সের কর্তা ডান হুয়ট বলেন, ‘‘উৎক্ষেপণের কিছু ক্ষণ পর থেকে স্টারশিপের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তা থেকেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, কিছু সমস্যা হয়েছে। পরে তা ভেঙে গিয়েছে।’’
রয়টার্স জানিয়েছে, স্পেসএক্সের রকেট বিপর্যয়ের খবর জানতে পেরেই মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পর পর কিছু বিমান নামিয়ে আনা হয়েছে। রকেটের ধ্বংসাবশেষ এড়াতে অন্তত ২০টি বিমানের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে, অন্য বিমানবন্দরে সেগুলি নামিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন যাত্রীরাও। ব্যর্থ হলেও হতাশ নন স্পেসএক্সের সিইও মাস্ক। রকেটের ধ্বংসাবশেষের ছবি পোস্ট করে তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘সাফল্য অনিশ্চিত, তবে ষোলো আনা বিনোদনের নিশ্চয়তা আছে।’’ এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে স্পেসএক্সের একটি রকেট মাঝ আকাশে ভেঙে পড়েছিল। মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময়ে রকেটটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ভারত মহাসাগরের উপরে সেই ধ্বংসাবশেষ পড়ে। তবে এর আগে স্পেসএক্সের কোনও বিপর্যয়ে বিমান পরিষেবায় কোন অসুবিধে হয়নি।