
কলম্বো/নয়াদিল্লি, ২ জুলাই ২০২৫ — এলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স-এর স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রীলঙ্কায় চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটান ও বাংলাদেশের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে স্টারলিংকের পরিষেবা পেল শ্রীলঙ্কা, যা ভারতের বাজারে প্রবেশের পূর্বাভাসও জোরালো করেছে।
স্টারলিংক এক্স (পূর্বতন টুইটার) প্ল্যাটফর্মে ঘোষণা করে, “স্টারলিংকের উচ্চ-গতির, স্বল্প-বিলম্বিত ইন্টারনেট এখন শ্রীলঙ্কায় উপলব্ধ!” এই পরিষেবা মূলত দূরবর্তী ও অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
শ্রীলঙ্কায় স্টারলিংকের রেসিডেনশিয়াল প্ল্যানের মাসিক খরচ প্রায় ₹৩,৪৩০ থেকে ₹৪,২৮০ (লঙ্কান রুপি ১২,০০০–১৫,০০০), এবং পোর্টেবল ‘রোম’ প্ল্যানের খরচ ₹৪,২৮০ থেকে ₹৮,৫৬০ পর্যন্ত। হার্ডওয়্যার কিটের এককালীন মূল্য ₹১৭,১৮৫ থেকে ₹৩৩,৬৮৫ পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে।
ভারতে স্টারলিংকের পরিষেবা চালুর প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। গত মাসে সংস্থাটি ভারতের টেলিকম বিভাগ (DoT) থেকে গ্লোবাল মোবাইল পার্সোনাল কমিউনিকেশন বাই স্যাটেলাইট (GMPCS) লাইসেন্স পেয়েছে। এখন শুধুমাত্র IN-SPACe (Indian National Space Promotion and Authorisation Centre)-এর চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি। সংস্থাটি ইতিমধ্যে একটি খসড়া সম্মতিপত্র (LOI) পেয়েছে, যা স্বাক্ষরের পরেই ভারতের বাজারে পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে স্টারলিংক বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে পরিষেবা দিচ্ছে এবং এশিয়ার মধ্যে মঙ্গোলিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, ইয়েমেন ও আজারবাইজানে ইতিমধ্যেই সক্রিয় রয়েছে।
ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগের সীমাবদ্ধতা দূর করতে স্টারলিংকের সম্ভাব্য আগমনকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। তবে নিরাপত্তা ও স্পেকট্রাম সংক্রান্ত কিছু চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে সংস্থাটি। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী দুই মাসের মধ্যেই ভারতে স্টারলিংকের পরিষেবা চালু হতে পারে।