
২০২৫–২৬ অর্থবছরের জন্য প্রকাশিত Aon-এর ক্যাম্পাস স্টাডি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ক্যাম্পাস নিয়োগে উল্লেখযোগ্য পুনরুদ্ধার দেখা যাচ্ছে। ২০২৪ সালের ধীরগতির পর, এবার ৭৩ শতাংশ নিয়োগকারী সংস্থা মাঝারি থেকে উচ্চ হারে নিয়োগ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে। সমীক্ষাটি ২২০টিরও বেশি সংস্থার প্রতিক্রিয়া ভিত্তিক, যা দেশের ক্যাম্পাস নিয়োগের বর্তমান চিত্র ও ভবিষ্যৎ প্রবণতা তুলে ধরেছে।
আর্থিক পরিষেবা, জীবন বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প ও উপকরণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং ভোক্তা পণ্য খাতগুলি এই পুনরুদ্ধারের মূল চালক হিসেবে উঠে এসেছে। ৪০ শতাংশের বেশি সংস্থা FY26-এ তাদের কর্মী সংখ্যা ১০ শতাংশের বেশি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
সংস্থাগুলি এখন শুধুমাত্র ডিগ্রি নয়, বরং প্রার্থীর দক্ষতা, শিল্প প্রস্তুতি এবং সাংগঠনিক সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ৭০ শতাংশ সংস্থা ইন্টার্নদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রি-প্লেসমেন্ট অফার বা সাক্ষাৎকার দিচ্ছে। নিয়োগের সময় ৯০ শতাংশ সংস্থা সাংস্কৃতিক উপযোগিতা মূল্যায়ন করছে HR সাক্ষাৎকার ও আচরণগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে।
বেতন বৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে কম। MBA ও ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েটদের ক্ষেত্রে মোট প্যাকেজে সামান্য বৃদ্ধি হয়েছে, যার বেশিরভাগই ভেরিয়েবল পে ও জয়নিং বোনাসের মাধ্যমে এসেছে। ৬৭ শতাংশ সংস্থা MBA গ্র্যাজুয়েটদের জন্য স্বল্পমেয়াদি ইনসেনটিভ বা ভেরিয়েবল পে অফার করছে, যেখানে ভেরিয়েবল পে মোট প্যাকেজের ১০–১২ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
৫০ শতাংশ সংস্থা ক্যাম্পাস নিয়োগে লিঙ্গ অনুপাতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ সংস্থা শুধুমাত্র মহিলা কলেজে পৌঁছেছে, যা নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
Aon ইন্ডিয়ার ডেটা সলিউশন প্রধান রূপাঙ্ক চৌধুরী বলেন, “ভারতের ক্যাম্পাস নিয়োগ এখন রূপান্তরের পথে। সংস্থাগুলি গণ নিয়োগ থেকে সরে এসে দক্ষতা, আগাম সম্পৃক্ততা এবং দীর্ঘমেয়াদি রিটেনশনকে গুরুত্ব দিচ্ছে।”
এই রিপোর্টের মাধ্যমে স্পষ্ট যে, ভারতীয় ক্যাম্পাস নিয়োগ ব্যবস্থা ক্রমশ দক্ষতা-ভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ভবিষ্যত-প্রস্তুত কর্মীবাহিনী গঠনের দিকে এগোচ্ছে।