
জোরহাট, ১২ জুলাই — অসম-নাগাল্যান্ড সীমান্তবর্তী ডিসোই ভ্যালি রিজার্ভ ফরেস্টে ব্যাপক বন ধ্বংস ও অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছে অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ (AJYCP)-এর জোরহাট জেলা শাখা। বৃহস্পতিবার ৪৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সীমান্তবর্তী বনাঞ্চল পরিদর্শন করে এবং প্রতিবেশী রাজ্যের বাসিন্দাদের দ্বারা বনভূমিতে রাবার চাষসহ অবৈধ দখলের প্রমাণ পায়।
জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গায়েন জানান, প্রতিনিধি দলে রাজ্য সহ-সভাপতি শিবা কলিতা, জেলা সভাপতি অসীম জ্যোতি শইকিয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিনিধি দলকে জানান, অনুপ্রবেশকারীরা প্রথমে বনভূমিতে আগুন লাগিয়ে এলাকা খালি করে, পরে সেই জমি দখল করে চাষাবাদ শুরু করে।
AJYCP দাবি করেছে, রাজ্য সরকার যেভাবে অন্যান্য বন ও সরকারি জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে, তেমনভাবে সীমান্তবর্তী বনভূমি পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে হবে। সংগঠনটি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ছয় দফা দাবি-সহ একটি স্মারকলিপি জোরহাটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জমা দিয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—মারিয়ানি অঞ্চলে অতিরিক্ত সীমান্ত চৌকি (BoP) স্থাপন, স্পর্শকাতর এলাকায় কমান্ডো বাহিনী মোতায়েন, এবং সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিশ্বজিৎ গায়েন বলেন, “সরকারের দায়িত্ব রাজ্যের বন ও জমি রক্ষা করা এবং সীমান্তবর্তী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে AJYCP ধারাবাহিক আন্দোলনের পথে হাঁটবে।”
এই ঘটনাটি অসম-নাগাল্যান্ড সীমান্ত বিরোধের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ও জমির মালিকানা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, এবং ছাত্র সংগঠনগুলির সক্রিয় ভূমিকা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।