October 12, 2025
17

এক সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, গর্ভাবস্থায় তীব্র সকালের বমিভাব (Hyperemesis Gravidarum) ভোগা নারীদের মধ্যে প্রসব-পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। গবেষণাটি জানিয়েছে, এই অবস্থায় আক্রান্ত নারীদের মধ্যে বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং ট্রমা-সংক্রান্ত মানসিক সমস্যার সম্ভাবনা প্রায় ৫০% পর্যন্ত বেড়ে যায়।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একটি দল, যারা ২০০ জনেরও বেশি নারীর ওপর সমীক্ষা চালিয়েছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একাংশ Hyperemesis Gravidarum-এ আক্রান্ত ছিলেন, অন্য অংশটি ছিলেন সুস্থ গর্ভবতী নারী। ফলাফলে দেখা যায়, যাঁরা তীব্র সকালের বমিভাবে ভুগেছেন, তাঁদের মধ্যে প্রসব-পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার হার দ্বিগুণেরও বেশি।

Hyperemesis Gravidarum সাধারণ সকালের বমিভাবের তুলনায় অনেক বেশি তীব্র, যার ফলে গর্ভবতী নারীরা অতিরিক্ত দুর্বলতা, খাদ্য গ্রহণে অসুবিধা, ওজন হ্রাস এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই শারীরিক কষ্ট দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের জন্ম দিতে পারে, যা প্রসব-পরবর্তী সময়ে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় রূপ নিতে পারে।

গবেষণার প্রধান লেখক ড. মেগান শার্প বলেন, “Hyperemesis Gravidarum শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও নারীদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। চিকিৎসা ব্যবস্থায় এই বিষয়টি আরও গুরুত্ব পাওয়া উচিত।”

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, গর্ভাবস্থায় তীব্র বমিভাবে আক্রান্ত নারীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা এবং পরবর্তী পর্যায়ে মনো-চিকিৎসা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এই গবেষণা ভবিষ্যতে গর্ভকালীন চিকিৎসা নীতিতে পরিবর্তন আনার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *