
ছত্তিসগড়ের নারায়ণপুরের অবুঝমাড়ে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম ২৭ মাওবাদী। এর মধ্যে রয়েছেন নম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুও। বুধবার এই অভিযানকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উল্লেখ্য, কেশব রাও সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা।
নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে X পোস্টে অমিত শাহ লিখেছেন, ‘গত তিন দশকের নকশাল বিরোধী ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ের নেতাকে নিকেশ করতে সক্ষম হয়েছে আমাদের বাহিনী। এই যুগান্তকারী কাজের জন্য আমাদের সাহসী নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’
সূত্রের খবর, দান্তেওয়াড়া-নারায়ণপুর-বীজাপুরের সীমানায় বাসবরাজুর আসার খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। সেই খবরের ভিত্তিতেই ভোররাত থেকে শুরু হয় অভিযান। ছত্তিসগড় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের জওয়ান ও মাওবাদীদের মধ্যে বুধবার ভোররাত থেকে তীব্র গুলির লড়াই বেধে যায়। অভিযানে নারায়ণপুর, বিজাপুর এবং দান্তেওয়াড়া জেলার ডিআরজি সদস্যরা অংশ নিয়েছিলেন।
বাসবরাজুকে খতম করা মানে মাওবাদীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া, এমনটাই মনে করছেন শাহ। তিনি লিখেছেন, ‘নম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু — সিপিআই-মাওবাদীর সাধারণ সম্পাদক, সর্বোচ্চ নেতা এবং নকশাল আন্দোলনের মেরুদণ্ড ছিলেন।’
ছত্তিসগড়ের পাশাপাশি তেলঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রেও মাওবাদী-বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। অমিত শাহ লিখেছেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ‘অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্ট’-এ ছত্তিসগড়, তেলঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্রে ৫৪ জন নকশালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৮৪ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন।’
মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়তে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। বেঁধে দেওয়া হয়েছে ডেটলাইনও। অমিত শাহ লিখেছেন, ‘মোদী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ — ৩১ মার্চ, ২০২৬-এর মধ্যেই দেশ থেকে মাওবাদীদের নির্মূল করা হবে।’ প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে অন্য এক অভিযানে, তেলঙ্গানা সীমানার কারেগুট্টা পাহাড়ের কাছে ছত্তিসগড়ের জঙ্গলে ৩১ জন মাওবাদীকে খতম করেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সেই অভিযানকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।