
গোটা রাজ্যের বিভিন্ন বিপর্যয়ের ঘটনা সামলাতে রাজ্য পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা ডিএমজি ইউনিটের সংখ্যা বাড়ল। ভবানী ভবন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ডিএমজির সাতটি ইউনিট রয়েছে। যা বর্তমানে বেড়ে চোদ্দো হল। নির্দেশিকা অনুযায়ী, নতুন প্রতিটি ইউনিটে ৪০ জন সদস্য থাকবে। তাঁর মধ্যে ৩৬ জন কনস্টেবল, বাকি চার জন অফিসার। ভবানী ভবন সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ডিএমজি ইউনিট রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন ব্যাটেলিয়ন থেকে বাছাই করা কর্মী নিয়ে তৈরি হয়েছে ।
বর্তমানে রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর ৪, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ এবং ১৩ ব্যাটেলিয়নের অধীনে রয়েছে ডিএমজির সাতটি ইউনিট। তবে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন বিপর্যয়ের ঘটনা সাতটি ব্যাটেলিয়নের পক্ষে সামলানো সম্ভব হচ্ছিল না বলে দাবি উঠছিল। পূর্বে রাজ্য পুলিশের তরফে পৃথক ডিএমজি ব্যাটেলিয়ন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। সেই ঘাটতি মেটাতেই এ বার রাজ্য পুলিশের কর্তারা আরও সাতটি ব্যাটেলিয়নের নতুন ডিএমজি ইউনিট তৈরি করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে, রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর ১, ২, ৩ এবং ১১ নম্বর ব্যাটেলিয়ন। তাছাড়াও নতুন গঠিত জঙ্গলমহল, নারায়ণী এবং গোর্খা ব্যাটেলিয়নেও ওই ডিএমজি ইউনিট তৈরি হয়েছে। ফলে রাজ্য পুলিশের সব ব্যাটেলিয়নেই থাকছে ডিএমজি ইউনিট। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডিএমজি ব্যাটেলিয়নের দফতর হওয়ায় কোথাও বিপর্যয় ঘটলে দ্রুত সেখানে বাহিনী পৌঁছে যেতে পারবে বলে দাবি করেছেন পুলিশের কর্তাদের একাংশ।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ৪০ জন সদস্য থাকছেন নতুন গঠিত এক একটি ডিএমজি ইউনিটে এবং প্রতিটি স্কোয়াড পাঁচটি বিশেষ দলে বন্টিত থাকবে। কোনও দল ডুবে যাওয়ার তল্লাশি করবে, আবার কোন দল বহুতল বা উঁচু জায়গায় আটকে পড়লে উদ্ধার কাজ চালাবে।