
সুযোগ পেলেই সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, সায়েন্স ফিকশন সিনেমা দেখার নেশা। পড়াশোনায় ধরাবাঁধা কোনও নিয়ম ছিল না। তবে যখন বই-খাতা নিয়ে বসত, সেই সময়ে পড়ায় মনযোগ ও একাগ্রতা থাকত। সেই পরিশ্রমের সাফল্য মিলল বুধবার। ICSE পরীক্ষায় বাংলা থেকে মেধা তালিকায় জায়গা করে নিলেন মেদিনীপুরের মেয়ে আদৃতা মাহাত। সর্বভারতীয় স্তরে এবং রাজ্য থেকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে আদৃতা।
আদৃতা’র বাবা প্রণবেশ মাহাত চন্দ্রকোনা রোডের সারদাময়ী হাই স্কুলের ফিজিক্সের শিক্ষক। মা অসীমা মাহাত (পাত্র) গৃহবধূ। শহরের বার্জটাউন এলাকায় বাড়ি। আদৃতা ইংরেজিতে ৯৯, ইতিহাসে ১০০, ভূগোলে ১০০, ফিজিক্সে ১০০, বায়োলজিতে ১০০, কেমিস্ট্রিতে ১০০ এবং কম্পিউটার এপ্লিকেশনে ১০০ পেয়েছে। পড়াশোনা ছাড়াও ছবি আঁকতে ভালোবাসে আদৃতা। এমনটাই জানিয়েছে আদৃতা। পরীক্ষায় সে ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯ পেয়েছে
আদৃতা বলে, ‘পড়াশোনার কোন বাঁধাধরা রুটিন ছিল না। পাঁচ-ছ’ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। ফিজিক্সে বাবা সাহায্য করতেন। তবে, অন্যান্য সাবজেক্টে প্রাইভেট টিউটর ছিলেন। বাবা-মা ছাড়াও আমার এই সাফল্যে তাঁদের অবদানে কম নয়। তবে, স্কুলের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। ওখানেই অনেকটা এগিয়ে দিতেন স্যার-ম্যাডমরা।’
আদৃতার এই সাফল্যে খুশি পরিবারের সকলেই। আদৃতার বাবা প্রণবেশ মাহাত বলেন, ‘আমি খুব বেশি সময় দিতে পারতাম না। ওর মা-ই সবকিছু দেখতেন। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও অনেক সাহায্য করেছেন।’ বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের প্রিন্সিপাল চন্দা মজুমদার বলেন, ‘এই স্কুল থেকে দু’জন ছাত্রী ৪৯৯ নম্বর পেয়েছে। আদৃতা ছাড়াও সৃজিতা মণ্ডল একই নম্বর পেয়ে স্কুলে শুধু প্রথম নয়, অল ইন্ডিয়াতেও র্যাঙ্ক করেছে। আমরা ওদের জন্য গর্বিত।’
উল্লেখ্য, ICSE-তে জোড়া সাফল্য মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের। ৫০০-তে ৪৯৯ নম্বর পেয়ে জাতীয় ও রাজ্য স্তরের মেধাতালিকায় জায়গা (প্রথম স্থান) করে নিয়েছে স্কুলের দুই ছাত্রী আদৃতা মাহাত এবং সৃজিতা মণ্ডল। দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯ অর্থাৎ ৯৯.৮ শতাংশ।