
আসামের তিনসুকিয়া জেলায় এক ১৪ বছর বয়সী নবম শ্রেণির ছাত্রী শিক্ষকের যৌন হয়রানির শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। হাতিঘুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা এই গুরুতর অভিযোগের জেরে এলাকায় শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ছাত্রীটি নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। অভিযোগ, ভ্রিকু ছেত্রী নামে এক শিক্ষক এই যৌন নির্যাতনের জন্য দায়ী। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষক তাঁর অসদাচরণের অংশ হিসেবে স্কুলে ওই ছাত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়েছিলেন।
ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ৩ জুন, যখন ছাত্রীটি প্রথমবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তখন ডাক্তাররা তাকে বাঁচাতে সক্ষম হলেও, সবরকম সমর্থন সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সে নিজের জীবন নেয়। এই ঘটনায় পরিবার ও গোটা সম্প্রদায় গভীর শোক ও বিস্ময়ে স্তম্ভিত। অভিযুক্ত শিক্ষক ভ্রিকু ছেত্রীকে ১১ জুন গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
এই ঘটনা ধোলা এবং তিনসুকিয়া জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশন দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার আদালতে বিচারের দাবি তুলেছে। এই ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা এবং এ ধরনের অপরাধ মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণের জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।