
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলার প্রতিবাদে আগরতলায় চরম উত্তেজনা। অভিযোগ, আগরতলা শহরের তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসে একদল বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে আচমকাই কয়েকজন যুবক তৃণমূলের অফিসে ঢুকে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে ও দেয়ালের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীদের অনেকের হাতেই বিজেপির দলীয় পতাকা ছিল।
ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ— “এটি পরিকল্পিত হামলা, বিজেপি কর্মীরাই এতে যুক্ত।” অন্যদিকে, বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, “তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ঘটনা।”
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রাজনৈতিক হিংসার এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা ও বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গন।
খগেন মুর্মুর উপর হামলার প্রতিবাদে আগরতলায় তৃণমূলের রাজ্য কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠতেই বুধবার সকালে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, সাংসদ ও যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং টিএমসিপি নেতা সুদীপ রাহা।
ত্রিপুরা রওনা হওয়ার আগে কুণাল ঘোষ বলেন, “এটি নতুন কিছু নয়। এর আগেও আমাদের নেতাদের উপর হামলা হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। এখনো নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা পিছু হটব না।”
অন্যদিকে সায়নী ঘোষ জানান, “ত্রিপুরার কর্মীদের পাশে তৃণমূল ছিল, আছে, থাকবে। বিজেপি ভাবছে এইভাবে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে— সেটা ভুল ধারণা। পশ্চিমবঙ্গের মতো গণতন্ত্র বিজেপি শাসিত রাজ্যে নেই।”
ত্রিপুরায় ভাঙচুরের ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “ত্রিপুরার কার্যালয়ে বিজেপি-সমর্থিত দুষ্কৃতীদের হামলা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত।”
বর্তমানে ত্রিপুরায় ঘটনাস্থলে বড় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, রাজনৈতিক উত্তেজনা এখনো তুঙ্গে।