
বঙ্গাইগাঁও, ১৬ জুলাই ২০২৫ — আসামের বঙ্গাইগাঁও জেলায় যমজ নবজাতককে জন্মের পর বিক্রি করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ২৬ জুন চিলারাই হাসপাতালে জন্ম নেওয়া দুই শিশুর মধ্যে একজনকে বুধবার উদ্ধার করা হয়েছে, তবে দ্বিতীয় শিশুর অবস্থান এখনও নিশ্চিত নয়। প্রশাসন ধারণা করছে, সে ধুবড়ি জেলায় থাকতে পারে।
জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক (DCPO) দুলুমনি সূত্রধর জানান, “এটি অবৈধ দত্তক গ্রহণ না কি শিশু পাচার—তা এখনই বলা সম্ভব নয়। পুলিশ তদন্ত করছে, এবং প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হবে”।
অভিযোগ অনুযায়ী, প্রণব দাস ও বুদোবালা দাস নামে এক দম্পতি ঘিলাগুড়ি এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের বাড়িতে DCPO-র দল পৌঁছালে তাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দাবি করেন, একটি মৃত শিশু জন্মেছিল এবং তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর প্রমাণস্বরূপ কোনও নথি দেখাতে পারেননি।
DCPO-র দল পরে চিলারাই হাসপাতালে যায়, যেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে যে বুদোবালা দাস যমজ শিশু প্রসব করেছিলেন এবং ৩০ জুন তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়। তবে এরপর তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে হাসপাতালের কাছে কোনও তথ্য নেই।
দম্পতিকে DCPO-র দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছে, কিন্তু তাঁরা এখনও উপস্থিত হননি। এদিকে, দ্বিতীয় শিশুর সন্ধানে বঙ্গাইগাঁও ও ধুবড়ি জেলার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে।
এই ঘটনাটি আসামে শিশু সুরক্ষা ও অবৈধ দত্তক গ্রহণ সংক্রান্ত আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকার প্রমাণ। তদন্তের অগ্রগতির উপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ আইনি পদক্ষেপ।