
শিলং, ১৯ জুলাই ২০২৫ — ভারতের সহযোগিতা বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কৃষণ পাল গুর্জর মেঘালয় রাজ্যে দুই দিনের সফর শেষে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ভারত সরকারের বিকসিত ভারত ২০৪৭ ভিশন বাস্তবায়িত হবে তখনই, যখন প্রত্যন্ত ও পাহাড়ি অঞ্চলগুলো দেশের মূল উন্নয়ন ধারার সঙ্গে সমানভাবে অগ্রসর হবে।”
গুর্জর রাজ্যের জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় প্রধান ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PMAY), লক্ষপতি দিদি উদ্যোগ, জল জীবন মিশন (JJM), এবং প্রাইমারি অ্যাগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটি (PACS)-এর মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন ও প্রভাব পর্যালোচনা করেন।
PACS-এর সংখ্যা আগামী দুই বছরে ২ লক্ষে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। PACS এখন কৃষি, দুগ্ধ, মৎস্য ও গ্রামীণ উদ্যোগে সহায়তা করছে, শুধুমাত্র ঋণ প্রদানের সীমা ছাড়িয়ে। ত্রিভুবন সহকারী বিশ্ববিদ্যালয় (TSU)-র প্রতিষ্ঠা, যা সহযোগিতা শিক্ষার জন্য ভারতের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ।
গুর্জর ভূমি অধিগ্রহণে চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে বলেন, “গণতন্ত্রে জনগণের উদ্বেগকে গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবেশ সংবেদনশীলতা ও স্থানীয় অংশগ্রহণের সঙ্গে উন্নয়নকে সমন্বয় করতে হবে।” তিনি খাসি হিলসকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী শিলং ও পূর্ব খাসি হিলস জেলায় বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং জল সরবরাহ, গ্রামীণ কর্মসংস্থান, গৃহনির্মাণ ও নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত প্রকল্পের উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এই সফর মেঘালয় ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অবকাঠামো, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও জীবিকা উন্নয়ন-কে কেন্দ্র করে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়, ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ ও স্বচ্ছ তহবিল ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করে।