
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ান তেলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকির কারণে যদি ভারত এই তেল কেনা বন্ধ করতে বাধ্য হয়, তাহলে দেশের বার্ষিক তেল আমদানি বিল ৯ থেকে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে সস্তায় রাশিয়ান তেল কিনে ভারত উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন করছিল।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে মস্কোর কাছ থেকে ভারত কম দামে তেল কিনতে শুরু করে। যুদ্ধের আগে ভারতের মোট আমদানির মাত্র ০.২ শতাংশের কম রাশিয়া থেকে আসত, যা এখন বেড়ে ৩৫-৪০ শতাংশ হয়েছে। এর ফলে ভারতের জ্বালানি আমদানি খরচ কমেছে, খুচরা তেলের দাম স্থিতিশীল ছিল এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য হয়েছে।
তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং রাশিয়ান তেল কেনার জন্য অনির্দিষ্ট জরিমানার হুমকি দেওয়ায় এই সুবিধা এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত সরকার এখনও রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী তেল চুক্তি থেকে সরে আসার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “রাতারাতি কেনা বন্ধ করা সহজ নয়।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ান তেলের সরবরাহ হঠাৎ বন্ধ হলে তা শুধু লজিস্টিক নয়, অর্থনৈতিকভাবেও ভারতের জন্য বেদনাদায়ক হবে। এটি আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রা এবং মুদ্রানীতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।