
শিয়ালদহ থেকে চলতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পরিষেবা শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সংস্কারের উপরে জোর দিচ্ছে রেল। মাস তিনেকের মধ্যে উপযোগী পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে শিয়ালদহের ভাগ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের শিকে ছিঁড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন রেলকর্তারা। কলকাতা টার্মিনাল লাগোয়া কাশীপুরে একটি আধুনিক কোচিং ডিপো তৈরি হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার । প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে আধুনিক সুবিধা-সহ ওই কোচিং ডিপোর পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। হাওড়ার ঝিল সাইডিংয়ের ধাঁচে ভবিষ্যতের জন্য ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলা ছাড়াও, কলকাতা ও শিয়ালদহ স্টেশনের ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণ পরিকাঠামোও উন্নত করা হচ্ছে। দু’জায়গাতেই সর্বাধিক ২৪ কোচের ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে পিট লাইনের দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, পুরনো সেতুর সংস্কার করে ট্রেনের গতি বাড়ানোর উপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পূর্ব রেলের আওতায় চলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের বেশীর ভাগই চলে হাওড়া থেকে। তবে ভবিষ্যতে ব্যান্ডেল স্টেশনকে কলকাতার উপগ্রহ টার্মিনাল হিসাবে গড়ে তুলতে চায় রেল। যার জন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান পূর্ব রেলের জিএম।
হাওড়া স্টেশনে পুরনো ব্রিজের বদলে নতুন সেতু চালু হলে ওই স্টেশনে আটটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো সম্ভব হবে। এতে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও ১২ কোচের লোকাল ট্রেন স্টেশনে ঢোকা নিয়ে জটিলতা কমবে।আগামী তিন মাসের মধ্যে হাওড়া-নয়াদিল্লি পথের একাংশে কবচ প্রযুক্তির মহড়া শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন জিএম। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পূর্ব রেল পণ্য পরিবহণ খাতে আয় বাড়িয়েছে ২৮ শতাংশ। লোকাল ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা উন্নত করতে ২০০টি ট্রেনকে বেছে নিয়ে পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টাও হয়েছে।