
নেপালের রাস্তাঘাট এখনও ধোঁয়াশায় মোড়া। গত কয়েকদিনের বিক্ষোভে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭২ জন যুবক-যুবতী। তাঁদের দাবি ছিল দুর্নীতি রুখে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। কিন্তু তাঁদের রক্তের বিনিময়ে জন্ম নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার আদৌ তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
প্রাক্তন বিচারপতি সুশীলা কার্কি-কে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছে আপস মীমাংসার প্রতীক হিসেবে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা বলছেন— “শুধু মুখ বদল নয়, আমরা চাই নীতি বদল।” তাঁদের অভিযোগ, সরকার এখনও মূল সমস্যাগুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেখাতে পারেনি।
সুশীলা কার্কি যদিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ও নিহতদের পরিবার সাথে আহতদের পাশে দাঁড়াবে সরকার। তবুও রাস্তায় নামা তরুণদের মধ্যে অস্থিরতা এখনো কাটেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আন্দোলন নেপালের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক ‘যুবজাগরণ’-এর অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। কারণ এই প্রথম সংগঠিত তরুণ প্রজন্ম দুর্নীতি, বৈষম্য আর পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে এত জোরালো কণ্ঠ তুলেছে।
প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে— অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষ হলে নেপাল কি সত্যিই নতুন প্রজন্মের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, নাকি আবারও পুরনো অভ্যাসে ফিরবে রাজনীতি?