
বিগত বেশ কিছু মাস ধরে একটানা রাজ্য জুড়ে ডিএ নিয়ে বিক্ষোভ চলছে, এই ইস্যুতে দায়ের হয়েছে মামলাও৷ যদিও বাংলা সরকার তাদের অনুকূলে এখনও পর্যন্ত কিছু ঘোষণা করেনি। এই পরিস্থিতিতে ডিএ নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বর্তমানে সপ্তম পে কমিশনের আওতায় ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। ফলে কেন্দ্র-রাজ্য ফারাক সামান্য কমে দাড়িয়েছে– ৩৫ শতাংশে।
এরই মধ্যে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতায় ডিএ প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে সিপিএম ও বিজেপির কর্মচারী সংগঠনকে একজোটে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা মাঝে মাঝে নাটক করে সরকারি (রাজ্য) কর্মচারিদের মাথা খারাপ করেন তাদের জন্য বলছি। বাম আমলে ৩৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ২০১১ সাল থেকে ডিএ বাবদ ২০২৫-২৬ সাল পর্যন্ত রাজ্য সরকারের খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ২ লক্ষ কোটি টাকা।”
মমতা বলেন, ‘২০১৯ সালে আমরাই ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু করেছি। তার আগে পর্যন্ত আমরা সরকারি কর্মীদের ৯০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করেছিলাম। যেটার আর্থিক পরিমাণ হল ১ লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। ২০১৯ সালে আমরা যখন ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু করি, তখন বেসিক পে’র সঙ্গে ১২৫ শতাংশ ডিএ যোগ করে তাদের বেতন ২.৫৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’