
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে চিকিৎসকরা এমন কিছু সহজ অভ্যাসের কথা তুলে ধরেছেন, যা দৈনন্দিন জীবনে অনুসরণ করলে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব। ১০ অক্টোবর পালিত এই দিবসে বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দেন, মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বড়সড় থেরাপি বা রিট্রিটের প্রয়োজন নেই—ছোট ছোট অভ্যাসই অনেক সময় বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
ফর্টিস ফারিদাবাদের নিউরোলজি বিভাগের পরিচালক ড. বিনীত বাঙ্গা বলেন, স্ক্রিন টাইম কমানো এবং গুণগত মানসম্পন্ন ঘুম নিশ্চিত করা মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, দিনের শেষে ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরে থাকা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া মস্তিষ্ককে পুনরুজ্জীবিত করে।
চিকিৎসকরা আরও বলেন, প্রতিদিন কিছুটা সময় শরীরচর্চা, আবেগগত চেক-ইন এবং নিরিবিলি সময় কাটানো—এই অভ্যাসগুলো মন ও শরীরকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন, ডায়েরি লেখা, প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকা এবং সামাজিক সংযোগ বজায় রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাসগুলো শুধু মানসিক স্থিতি বজায় রাখে না, বরং আত্মবিশ্বাস, মনোযোগ এবং দৈনন্দিন জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে সহায়ক। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের মূল বার্তা—সচেতনতা, সহানুভূতি এবং ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমে বড় পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।