
মরিগাঁও, ১২ আগস্ট, ২০২৫ — অসমের মরিগাঁও জেলায় এক ইউটিউবারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অসমীয়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে। অভিযুক্ত নারী ইউটিউব ভিডিওতে অসমবাসী সম্পর্কে কুরুচিকর ও অপমানজনক মন্তব্য করেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
এই ঘটনার ভিত্তিতে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বীর লাচিত সেনা’ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে লাহোরিঘাট থানার পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। মরিগাঁও জেলার পুলিশ সুপার হেমন্ত দাস জানান, “অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে অভিযুক্ত একটি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। তদন্তের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তকে এখনও জামিন দেওয়া হয়নি।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অসমের মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা অভিযুক্ত ইউটিউবারকে “পরিচিত কংগ্রেস সমর্থক” বলে দাবি করেন এবং বলেন, “এই ধরনের মানুষদের উপরেই কংগ্রেসের আইটি সেল নির্ভর করে তাদের প্রচার চালাতে।” তিনি আরও বলেন, “এই অপমানজনক মন্তব্যের বিরুদ্ধে কংগ্রেস এখনও কোনও নিন্দা প্রকাশ করেনি। এই নীরবতা কি কংগ্রেসের সরকারি অবস্থান? অসমের সংস্কৃতি ও পরিচয়কে অপমান করার জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে”।
এই ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এই গ্রেপ্তার ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া অসমে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার প্রশ্নকে সামনে এনেছে, যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সম্প্রদায়গত সম্মান—দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি হয়ে উঠেছে।