বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উত্তাল পরিস্থিতিতে দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে প্রথম বিবৃতি জারি করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দেশের কিছু অংশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এটা উদ্বেগজনক”। এই বিবৃতি প্রকাশের পর জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার সংখ্যালঘুদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও বিক্ষোভের জেরে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। তিনি তার বোন শেখ রেহানার সঙ্গে ভারতে আসেন। এরপর বাংলাদেশের বড় অংশে নতুন সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ‘প্রথম আলো’র বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪ থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে ওই দেশে সহিংস ঘটনায় ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যালঘুদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন যে তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে।
জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর দাবিতে রবিবার চট্টগ্রামে মিছিল করেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি অংশ। মিছিল থেকে ‘মাতৃভূমি বাংলাদেশ থেকে আমরা কোথাও যাবো না’ স্লোগান দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। প্রধানমন্ত্রী ইউনূস সম্প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকে ‘নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করছেন ইউনূস। একটি সূত্র জানায়, ইউনূসের সামনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা আট দফা দাবি পেশ করতে পারেন। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার, সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন ইত্যাদি।